কোয়ার্টার ফাইনাল ঝড় বাংলাদেশ এবং ভারতের মধ্যে ......


Decrease fontEnlarge font
আগামীকাল(১৯ মার্চ)বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচেই জয় পায় ধোনি-কোহলিরা। অপরদিকে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে মাশরাফি-সাকিবরা।

ক্রিকেট বোদ্ধারা হয়তো ভারতকেই এগিয়ে রাখবেন। কিন্তু, বিশ্বমঞ্চে টাইগাররা নিজেদেরকে যেভাবে তুলে ধরেছে তাতে করে কালকের ম্যাচে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। উত্তেজনাপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী এই দু’টি দেশকে ঘিরে পাঠকদের জন্য দশটি বিশেষ দিক তুলে ধরা হলো।

১/প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে দু’দল ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল।

২/বিশ্বকাপ ইতিহাসে দু’বারের দেখায় বাংলাদেশ ও ভারত সমান একটি করে জয় পায়। ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জিতে টেন্ডুলকার-দ্রাবিড়দের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়েছিল মাশরাফি-মুশফিকরা। ২০১১ সালে বদলা নেয় ধোনি-কোহলিরা।

৩/বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ভারতের দু’টি সেঞ্চুরি রয়েছে। দুটোই এসেছে ২০১১ বিশ্বকাপে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ভিরেন্দার শেওয়াগ (১৭৫) ও বিরাট কোহলি ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

৪/আগের দুই বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। এখন দেখার পালা কালকের ম্যাচে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন কিনা।

৫/বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নেই। ২০১১ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন তামিম।

৬/২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের বর্তমান সহ-অধিনায়ক কোহলির বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল।

৭/বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডের ছয়জন ক্রিকেটার তামিম, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেন গত বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ভারতের বর্তমান স্কোয়াড থেকে শুধুমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কোহলি ঐ ম্যাচে ছিলেন। ধোনি ২০০৭ বিশ্বকাপেও মাশরাফিদের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ঐ আসরে টাইগারদের হয়ে ছিলেন বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি, সাকিব, তামিম ও মুশফিক।

৮/ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৮বারের দেখায় ভারতকে তিনবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে জিতেছে ২৪টিতে। বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।

৯/এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হচ্ছে যেখানে নিশ্চিতভাবে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ যদি ভারতকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে উঠে যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

১০/মার্চ মাসে ভারতের বিপক্ষে কখনোই হারেনি বাংলাদেশ। কালকের ম্যাচে এই ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা তা সময়েই বলে দিবে।

উল্লেখ্য, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দু’দলের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায়।


0 comments:

Post a Comment