First Download the latest version from the below link..

Click here to download

Screenshots

New v1.0.7.16
The updated main form user interface. Not the Blogger user Id, Blogger password fields and Get Blogs button are gone...
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.a.png

To add a blog for backup, select "Add/Update/Remove Blogs"
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.b.png

When first launched, with a new, empty BBSettings file, the blog list is empty
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.a.png

To make your life easier, you can just log into Blogger this once and grab your blogs
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.b.png

If you have a second, or more, Blogger ID & associated blogs, you can also add those blogs to your list as well.
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.c.png

OR you can manually enter the Blog Title, Blogger URL and update the Blogger Feed URL.
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.d.png

And then click "Add Blog", to add it to your blog list 
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.e.png

Once you click Ok, your blogs will then be available for backup
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.c.png

You can save your current BBSettings file, open another, etc.
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.d.png

Each blog's settings are saved separately, so for each blog you can have different settings.
BloggerBackup.v1.0.7.16.BlogList.e.png

And of course, when restoring posts you have to log into Blogger.
BloggerBackup.v1.0.7.16.RestorePosts.a.png

New v1.0.5.14
New Restore Button
BloggerBackup.v1.0.5.14.a.png

Selecting files, previously backed up posts.
BloggerBackup.v1.0.5.14.SelectingPosts.a.png

Final confirmation and kicking off of the restore.
BloggerBackup.v1.0.5.14.SelectingPosts.b.png

New v1.0.4.10
BloggerBackup.1.0.4.10.a.png

New Custom Path Builder dialog
PathBuilder.a.png

A number of folder name options
FolderNameOptions.png

Lots or File naming options...
FileNameOptions.png FileNameOptions-2.png

You can design a folder path and file name that fits you and your style...
PathBuilderExample.png

How the results/output looks in Windows Explorer
BloggerBackupResultsinExplorer.png

New v1.0.1.6
BloggerBackup.1.0.1.6.png

Previous Version
Most of the functions/features/drop downs are the same in v1.0.1.6...
BloggerBackup.2.png

BloggerBackup.3.png

BloggerBackup.4.png

BloggerBackup.5.png

BloggerBackup.6.png

WebProxy_1_a.png

WebProxy_1_b.png

All data Collected from : http://bloggerbackup.codeplex.com/




I've been alone with you inside my mind 
And in my dreams I've kissed your lips a thousand times 
I sometimes see you pass outside my door 
Hello, is it me you're looking for? 

I can see it in your eyes 
I can see it in your smile 
You're all I've ever wanted, and my arms are open wide 
'Cause you know just what to say 
And you know just what to do 
And I want to tell you so much, I love you 

I long to see the sunlight in your hair 
And tell you time and time again how much I care 
Sometimes I feel my heart will overflow 
Hello, I've just got to let you know 

'Cause I wonder where you are 
And I wonder what you do 
Are you somewhere feeling lonely, or is someone loving you? 
Tell me how to win your heart 
For I haven't got a clue 
Cause let me start by saying, I love you 

Hello, is it me you're looking for? 
'Cause I wonder where you are 
And I wonder what you do 
Are you somewhere feeling lonely, or is someone loving you? 
Tell me how to win your heart 
For I haven't got a clue 
But let me start by saying I love you






Watch Online


Yogis and street performers have been simulating levitation with nifty contraptions forever. They appear to be held aloft via nothing but their preternatural mental prowess…
…but are really enjoying the benefits of basic physics just like the rest of us when we use a chair…
However, just because it’s perfectly explainable doesn’t mean it isn’t nifty. I’m especially impressed by this 2-person version and am still trying to work out how exactly the chair they’re using is shaped at the base…
Update…
Perhaps the 2-person trick above works something like this…
2-person Levitation Trick




Decrease fontEnlarge font
আগামীকাল(১৯ মার্চ)বিশ্বকাপের দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বের ছয়টি ম্যাচেই জয় পায় ধোনি-কোহলিরা। অপরদিকে প্রথমবারের মতো নকআউট পর্ব নিশ্চিত করে আত্মবিশ্বাসের তুঙ্গে মাশরাফি-সাকিবরা।

ক্রিকেট বোদ্ধারা হয়তো ভারতকেই এগিয়ে রাখবেন। কিন্তু, বিশ্বমঞ্চে টাইগাররা নিজেদেরকে যেভাবে তুলে ধরেছে তাতে করে কালকের ম্যাচে যেকোনো কিছুই ঘটতে পারে। উত্তেজনাপূর্ণ কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচের আগে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশী এই দু’টি দেশকে ঘিরে পাঠকদের জন্য দশটি বিশেষ দিক তুলে ধরা হলো।

১/প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। এর আগে দু’দল ২০০৭ ও ২০১১ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছিল।

২/বিশ্বকাপ ইতিহাসে দু’বারের দেখায় বাংলাদেশ ও ভারত সমান একটি করে জয় পায়। ২০০৭ বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে জিতে টেন্ডুলকার-দ্রাবিড়দের টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় করে দিয়েছিল মাশরাফি-মুশফিকরা। ২০১১ সালে বদলা নেয় ধোনি-কোহলিরা।

৩/বাংলাদেশের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ভারতের দু’টি সেঞ্চুরি রয়েছে। দুটোই এসেছে ২০১১ বিশ্বকাপে ঢাকায় অনুষ্ঠিত গ্রুপ পর্বের ম্যাচে। ভিরেন্দার শেওয়াগ (১৭৫) ও বিরাট কোহলি ১০০ রানে অপরাজিত ছিলেন।

৪/আগের দুই বিশ্বকাপের ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন বাংলাদেশের ওপেনার তামিম ইকবাল। এখন দেখার পালা কালকের ম্যাচে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেন কিনা।

৫/বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের কোন ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নেই। ২০১১ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন তামিম।

৬/২০১১ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে ভারতের বর্তমান সহ-অধিনায়ক কোহলির বিশ্বকাপে অভিষেক হয়েছিল।

৭/বাংলাদেশের বর্তমান স্কোয়াডের ছয়জন ক্রিকেটার তামিম, ইমরুল কায়েস, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ও রুবেল হোসেন গত বিশ্বকাপে ভারতের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ভারতের বর্তমান স্কোয়াড থেকে শুধুমাত্র মহেন্দ্র সিং ধোনি ও কোহলি ঐ ম্যাচে ছিলেন। ধোনি ২০০৭ বিশ্বকাপেও মাশরাফিদের বিপক্ষে খেলেছিলেন। ঐ আসরে টাইগারদের হয়ে ছিলেন বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি, সাকিব, তামিম ও মুশফিক।

৮/ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৮বারের দেখায় ভারতকে তিনবার হারিয়েছে বাংলাদেশ। ভারতে জিতেছে ২৪টিতে। বাকি ম্যাচটি পরিত্যক্ত হয়।

৯/এবার প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও ভারত মুখোমুখি হচ্ছে যেখানে নিশ্চিতভাবে কোনো দলকেই এগিয়ে রাখা যাবে না। বাংলাদেশ যদি ভারতকে হারিয়ে সেমি ফাইনালে উঠে যায় তাহলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।

১০/মার্চ মাসে ভারতের বিপক্ষে কখনোই হারেনি বাংলাদেশ। কালকের ম্যাচে এই ধারা অব্যাহত থাকবে কিনা তা সময়েই বলে দিবে।

উল্লেখ্য, মেলবোর্ন ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দু’দলের মধ্যকার কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। খেলা শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৯টায়।



হিডেন ক্যামেরা সনাক্ত:  
খুব সহজে নির্নয় করা যায় রুমে গোপন ক্যামেরার অস্তিত্ব আছে কিনা। এর জন্য আপনার লাগবে একটা মোবাইল ফোন (সিম এক্টিভ করা) যেখান থেকে কল করা যায়। এবার ট্রায়াল রুমে (যেখানে কাপড় পাল্টাবেন) ঢুকে আপনার মোবাইল থেকে কাউকে কল দেয়ার চেষ্টা করুন। যদি কল করা যায় ও নেটওয়ার্ক থাকে- তাহলে গোপন ক্যামেরা নাই। আর যদি কল করা না যায় ও নেটওয়ার্ক হঠাৎ করে ডাউন হয়ে যায়-তাহলে অবধারিত ভাবে বুঝবেন সেখানে গোপন ক্যামেরা রয়েছে।

গোপন ক্যামেরার সাথে ফাইবার অপটিক্যাল ক্যাবল থাকে। সিগন্যাল ট্রান্সফার করার সময় এর ইন্টারফিয়ারেন্স হতে থাকে। যার জন্য মোবাইল নেটওয়ার্ক ঐখানে কাজ করেনা। এভাবেই আপনি পারেন গোপন ক্যামেরার নোংরামি থেকে বাঁচতে পারেন।

শপিংমলের ড্রেসিং/ট্রায়াল রুমে (যেখানে মেয়েরা কাপড় পাল্টায় বা ফিটিং চেক করে) সেখানে যে আয়না থাকে সেটা আসল নাও হতেপারে, এটিও গোপন ক্যামেরার মতই মারাত্মক ! প্রযুক্তির অপব্যবহারে আসল আয়নার মাঝে এখন যুক্ত হয়েছে নকল আয়না, যাকে বলা হয় দ্বিমুখী আয়না । এই আয়নায় আপনি আপনার চেহারা দেখতে পারবেন, কিন্তু ভুলেও বুঝতে পারবেন না যে অন্যপাশ হতে কেউ আপনাকে দেখছে! অথবা আয়নার অন্য পাশে লাগানো আছে অত্যাধুনিক কোন ক্যামেরা।

আপনার আঙ্গুল আয়নার উপর রাখুন। যদি আপনার আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্ব আঙ্গুলের মাথার সাথে না লাগে (মাঝে যদি ফাঁকা থাকে) তাহলে আয়না আসল। আর যদি আঙ্গুলের মাথা প্রতিবিম্বের মাথার সাথে লেগে যায়, তার মানে আয়না নকল! এটা আসল আয়না না, একটা দ্বিমুখী আয়না! যার অন্যপাশে থেকে আপনাকে দেখা যাবে, কিন্তু আপনি তাকে দেখতে পাবেন না। মানে অন্যপাশে থেকে কেউ আপনাকে দেখছে বা ভিডিও করছে!

কারন আসল আয়নার সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার পিছনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুল ও প্রতিবিম্বের মাঝে ফাঁকা থাকবে আয়নার পুরুত্বের জন্য।আর নকল আয়নার(দ্বিমুখী) সিলভার প্রলেপ থাকে আয়নার সামনে, যার জন্য আপনার আঙ্গুলের ছাপ আপনার আঙ্গুলের প্রতিবিম্বের সাথে লেগে যাবে কারন মাঝে কোনো বাধা নেই।



গতকাল রাতে কুমিল্লা আসার সময় বাসে আমার পাশের সিটে আমার থেকে কয়েক বছরের বড় একটা ছেলে বসেছিল...
ছেলেটার মোবাইল ফোনটা ২৫-৩০ মিনিট অন্তর অন্তর বেজেই যাচ্ছিল...ছেলেটির সাথে কথা বলতে বলতে
জানতে পারলাম তার বউ তাকে বার বার ফোন দিতেছে, সে সেইফ আছে কিনা তা জানার জন্য ...
চার বছর আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল. মেয়েটির মা-বাবা রাজী না থাকায় মেয়েটি ছেলেটিকে বিয়ে করার জন্য সব ছেড়ে পালিয়ে এসেছিল...
তারপর থেকে মেয়েটির ভালবাসার জন্য ছেলেটির মনে একটা শ্রদ্ধা জন্মে গেছে...
বিয়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত সে মেয়েটিকে একটা ধমকও দেয় নাই.মেয়েটির চোখ দিয়ে এক ফোঁটা পানি পরলে আরেক ফোঁটা পানি পড়ার আগেই চোখের পানি মুছে দেয় ছেলেটা...ছেলেটা বলল, ভাই মেয়েটি আমার জন্য তার সবকিছু ছেড়ে চলে এসেছে. এখন আমিই যদি তাকে কিছু একটা বলে কষ্ট দেই তাহলে সে যাবে কোথায়?? তারপর বাসটা গ্যাস নেয়ার জন্য একটা পেট্রোল পাম্পে থামল...
ছেলেটি একটা চানাচুরের প্যাকেট
আমাকে দিয়ে বলল, ভাই, আমি ঢাকায়
খুব কম বেতনের একটা চাকরি করি,.
আমি টাকার গরিব কিন্তু ভালবাসায়
কোটিপতি...
বাড়িতে গেলে বউ যখন ঘোমটা
মাথায় দরজা খুলে ভালবাসা মিশ্রিত
একটা লাজুক হাসি দেয়, সেটা
কোটি টাকা কামানোর চেয়ে অনেক
বেশি তৃপ্তিদায়ক...
ছেলেটি যে মিথ্যা বলে নি খুব সুখে
আছে তা ছেলেটিকে দেখলেই যে
কেউ বলে দিতে পারবে- এর জন্য কোন
জ্যোতিষি হবার দরকার নেই...
ছেলেটি যখন মেয়েটির জন্য একটা
পুঁথির মালাও নিয়ে যায়,
তখনও হয়ত মেয়েটি খুব খুশি হয়.
কারণ পুঁথির মালাটা মেয়েটির
কাছে হয়ত কোন গিফট না,
একটা বৃত্তাকার ভালবাসা...
ছেলেটি যখন মেয়েটির জন্য একটা
তাঁতের শাড়িও কিনে আনে, তখনও
মেয়েটি হয়ত খুব খুশি হয়ে শাড়িটা
পড়ে..
কারন সে হয়ত ভাবে কোন শাড়ি না,
তাকে জড়িয়ে রেখেছে ছেলেটির
ভালবাসা...
ছেলেটির দেয়া টিপগুলো পড়ে
মেয়েটা হয়ত প্রতিদিন আয়নার সামনে
দাঁড়ায়,
তখন মেয়েটির কানে গুনগুনিয়ে কোন
এক পরিচিত কণ্ঠ হয়ত বলে যায়,
" তোমাকে আজ খুব সুন্দর লাগছে"...
প্রত্যেকটা মানুষেরই আলাদা একটা
পৃথিবী থাকে,
সেই পৃথিবীটাকে স্বর্গ বানানোর জন্য
বেশি কিছু দরকার নেই .
দুইটা খাঁটি মন,
ছোট একটা ঘর
আর ঘরের কোণায় কোণায়
ভালবাসাদের আনাগোনা- এই তো
যথেষ্ট...
টাকা ছাড়া শুধু ভালবাসা নিয়েই
সুখে আছে এমন মানুষ আপনি পৃথিবীর
আনাচেকানাচে অনেক খুঁজে
পাবেন...
কিন্তু ভালবাসা ছাড়া শুধু টাকা
নিয়ে-e সুখে আছে এমন একটা মানুষ
পৃথিবীতে তো দূরে থাক আপনি মঙ্গল
গ্রহেও খুঁজে পাবেন না...




Mauka to learn a lesson (BAN vs IND), ICC Cricket World Cup 2015










মানুষের জীবনে অনেক গল্প থাকে। আমার জীবনটা সাদামাটা । তবুও কিছু ঘটনা যে নেই তা নয়। আমি যখন ক্লাস টু তে পড়ি তখন আমার বড় ভাইকে এক লোক বাসায় থেকে পড়াত। আমার ভাই ক্লাস নাইন এ পড়ত। ভাল রেজাল্ট করানোর জন্য বাবা মা লজিং মাস্টার রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন। পাঠক বন্ধুরা প্লিজ ভাববেন না যেন যে ঐ লোকের সাথে আমার প্রেম হয়ে গিয়েছিল! প্রথম দিন এসেই লোকটা আমাকে এমন কিছু কান পর্যন্ত হেসে বলল যা ঐ বয়সেও শুনে আমার কান গরম হয়ে গিয়েছিল। আমার নিজেকে প্রথমেই খুব অসহায় লাগতে শুরু করে। মনে হত নিজের ঘরে আমি যেন অবহেলিত। এ কে এল আমাদের বাসায়! আমার লোকটাকে সহ্য হত না। পরে অবশ্য সে এমন কিছু আচরণ করে যা আমার তখন বরদাস্ত হত না। পরে টিন এইজ বয়সে এসে আমার সামনে সব পরিষ্কার হয়ে যায়। আমি নিজেকে প্রচণ্ড ঘৃণা করতে থাকি আর সব কিছুর জন্য আমি নিজেকে পৃথিবীর সব স্বাচ্ছন্দ্য থেকে দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নেই। আট বছরের একটা মেয়ের সাথে হয়ত চরম কিছু করা যায় না, তবে যতটুকুই হয়েছিল তা ছিল আমার জন্য লজ্জা আর কষ্টের। আমি মাত্র সাড়ে ন’ বছর বয়স থেকেই তীব্র দুঃচিন্তা করতে করতে মাথায় যন্ত্রণার রোগী হই। ফলাফল মায়পেইক গ্লাস। আমার মনে হত আমার চারপাশের আর পাঁচটা সাধারন মেয়ের মত আমার শৈশব যাচ্ছে না! আমি অসহায়ের মত কাঁদতাম। কেউ ছিলনা সেই কান্না মুছে দেবার। কাউকে বলবার মত ভাষা কিম্বা সাহস আমার কোনটাই ছিল না। তাই নিজের কষ্টে নিজেই চোখের জল ফেলতাম। আমি মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির মেয়ে। তার উপরে আমার বাবা ভয়াবহ রাগী মানুষ। মা-বাবার মাঝে সামাজিক সম্পর্কটুকুই শুধু ছিল। সেই জন্য ব্রোকেন ফ্যামিলির ছেলেমেয়ে দুর্নামটা মাথায় নিতে হয়নি আর। ছোটবেলা থেকেই দেখতাম মা বাবার মধ্যে ঝগড়া। খুব খারাপ লাগত তখন। ইচ্ছে হত সব ছেড়েছুড়ে কোথাও চলে যাই। ভাইয়ের এস.এস.সি র রেজাল্ট এর পর পরিস্থিতি হল আরও ভয়াবহ। ভাই রেজাল্ট ভাল করল না। বরং বেশ খারাপ করে ফেলল। এ জন্যও আমার বাবা অনেক অংশে দায়ী। ছোটবেলা থেকে ভাই কে মাত্রাতিরিক্ত শাসন করত। আমি দেখেছি কি বিষম মারটাই না খেতে হত ওকে! আমি ভয়ে সিটিয়ে থাকতাম। আমার ভাই আমার চেয়ে প্রায় ছ’ বছরের বড়। ওর সাথে পরিবারের সবার দূরত্ব বাড়ল। আমার সাথেও। আমাকে কেন যেন ও ঈর্ষার চোখে দেখত। ওর ধারণা ছিল আমি বোধ হয় একটু বেশিই আদর পাই। ভাইকে সম্পূর্ণ দোষ দেয়া যায় না। ছোটোবেলা থেকে ভাইএর শাসনের পরিণতি দেখে আমার মা আমাকে সর্বদা বাবার শাসন থেকে আগলে আগলে রাখার চেষ্টা করত। বাবাও আমাকে অনেক বেশি ভালবাসে ছোট বলে। যদিও এই আমাকেই মেয়ে বলে জন্মের সময় সেই বাবাই খুব একটা খুশি হয় নি!যাই হোক, আমি সিদ্ধান্ত নিলাম কখনও জীবনে বিয়ে করব না। ভালবাসা তো দূরে থাক। পরাশুনা নিয়েই থাকতাম। আমার রেজাল্টও ভাল হল। তবে তার পিছনেও অনেক কষ্টের ঘটনা ছিল। ভাইএর রেজাল্টের পর আমার উপর স্বভাবতই চাপ অনেক ছিল।মিডেল ক্লাস ফ্যামিলির বাবা মায়েরা বোধ হয় তাদের সব না পাওয়া স্বপ্নগুলোকে ছেলেমেয়েদের দিয়ে পূরণ করাতে চায়। তবুও অনেক ভালই হল পাবলিক পরীক্ষার রেজাল্টগুলো। আমার জীবনে তখন বিদ্যাচর্চা ছাড়া আর কোনও চিন্তার বিষয় ছিল না। এর কারণ আমি বোধ হয় আগেই বলেছি। অনেক দিনের ব্যাবধানে হয়ত সেই দুঃসহ সৃতিগুলো আর তেমন নাড়া দিত না। তবে আমার প্রতিজ্ঞার কথা কখনো ভুলতাম না।এভাবে দিন কেটে গিয়ে একসময় আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হলাম। আমার বন্ধুভাগ্য তেমন ভাল নয়। আমি ছোটোবেলা থেকেই লক্ষ্য করতাম আমাকে কেউ বোঝবার চেষ্টা করে না। আমি যতই মানুষকে কাছে টানি না কেন তারা কেউই আমার অন্তরের বন্ধুত্বের দাবীদার নয়; বরং আমার বন্ধুত্তের উদারতার সুযোগ নিয়ে আমাকে কাজে লাগাত। আমি এটাকে মেনে নিয়েছিলাম। তার একটা বড় কারণ হল বাবা মা আমাকে খুব একটা কোনও বন্ধুর বাড়িতে যেতে দিতেন না। আমি মনে মনে কত কেঁদেছি। কিন্তু কিছুই করার ছিল না। আমি এই জীবনকেই মেনে নিতে শিখলাম একসময়। আমার চারপাশের জগত নির্দিষ্ট কিছু গণ্ডির বাইরে প্রসারিত ছিল না এইচ এস সি এর আগ পর্যন্ত। পরে অবশ্য বাবা মায়ের শাসন হঠাৎ করেই শিথিল হয়ে পড়ল। বাইরের জগত এর সাথে অনেক মিশতে লাগলাম। অনেক যায়গায় গেলাম। ছাত্র পড়াতে লাগলাম।এভাবে দিন বেশ কাটছিল। বন্ধুদের সাথে রোমিং আর ফান চলছিল; আমি তোর ক্যাম, তুই আমার ফলোয়ার কিম্বা তুই আমার টিবিয়া, আমি তোর ফিবুলা। প্রথম টার্ম এর রেজাল্ট ভালই হল। দিনটা ছিল সূর্য গ্রহণ। আমি মোবাইল দিয়ে ফেইসবুক এ ঢুকে একটা ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পেলাম। পরে পিসি তে এসে দেখি সম্পূর্ণটা। প্রথম কথা হয় অনেক দিন পর। আমি খুব একটা অনলাইন কখনই থাকি না। আমার ছেলে বিদ্বেষ না থাকলেও আমি কখনও কাউকে অন্যভাবে নিই নি আমার সেই প্রতিজ্ঞার কথা ভেবে। বেশি কাব্য করব না সরাসরিই বলি এই ছেলেটি যেন সুনামি হয়ে আমাকে সুমাত্রার মত লণ্ডভণ্ড করে দিয়ে গেল। আমার এই প্রথম কারও সাথে কথা বলে মনে হতে লাগলো আমি যেন ডানা পেয়েছি। এই ডানা মেলে অনেক দূর উড়ে যাওয়া যাবে। যেই আমি তীব্র নারীবাদী আর আতেল ছিলাম, সেই আমার চিন্তাধারায় যেন কোনও ব্যাকহোল এসে সব শোষণ করে এক ধূ ধূ মরুভূমিতে ফেলে দিয়ে গেল। সেই সাহারা মরুর প্রান্তরে আমি একা; কোন অজানা পারস্যের রাজপুত্রের টানে ছুটে চলেছি; কোনোও কূল-কিনারা জানা নেই। আমার মনে তখন দ্বৈতসত্ত্বা। এক আমি অন্ধ মৌমাছির মতো বোঁ বোঁ করে ছুটছি সাহারার মরীচিকার সন্ধানে; আর এক আমি কোন সুদূরের সীনামায় দাঁড়িয়ে কালো ছায়ার মতো মুখে এক রাশ বিরক্তি আর করুণা নিয়ে বার বার ফিরে যেতে বলছি। শেষে মৌমাছিরই জয় হল। সে আমাকে বোঝাল জীবনের অন্যরকম মানে। মনে হতো আমি যেন কোনও অন্ধকার কূয়ার মধ্যে পড়ে যাচ্ছি; সামনে কোনও কিছু দেখি না অজানা অন্ধকার ছাড়া। শুধু মনে তীব্র আশা যে একদিন সুড়ঙ্গ শেষে দেখা যাবে আলোকোজ্জ্বল সকালের সোনা ঝরানো সূর্য। অনলাইন ক্র্যাশ বলে হাল্কা ভাবে দেখার কোনও কারণ নেই। কারণ আমি বা সে কেউই ফেইক ছিলাম না; আর আমার চারপাশে এমন কোনও সুযোগ ছিলনা যাতে পারিবারিক চোখ এড়িয়ে প্রণয়ঘটত কিছু ঘটার সম্ভাবনা থাকে। অনেকদিন সে বলত আমাকে দেখা করবার জন্য। হয়তো বুঝতে চাইত; জানতে চাইত। আমি কনফিউসড ছিলাম, দেখা করা কি ঠিক হবে? কিন্তু সে যাই হোক, পরে আমাদের বেশ অনেকবার দেখা হয়। আমার আগের বলা কথাগুলোর পরে নিশ্চয় আন্দাজ করা কঠিন নয় যে আমার আশেপাশে আপনজনের সংখ্যা অপ্রতুল। সে ছিল এর ঠিক উলটো। ওর ছিল অসংখ্য বন্ধু আর পিঠাপিঠি কাজিন। এতো বকবক ছেলেমানুষ করতে পারে তা আমি না শুনলে বুঝতে পারতাম না। তবে মন্দ লাগত না। আমি আগে আগেই বুঝে ফেলতে পারতাম পরে সে কি বলবে। অনেক খোঁচা দেয়া কথায়ও আর পাঁচটা মেয়ের মতো রেগে যেতাম না দেখে সে মাঝে মাঝে বলত, আমি নাকি অন্যরকম। এভাবে চলল প্রায় এক বছর। কেউই কারও সাথে এমন কোনও আচরণ করতাম না যাতে দুর্বলতা প্রকাশ পায়। কিন্তু আমদের ঘনিষ্টতা অনেক গভীর ছিল যা অন্য অনেকের ক্ষেত্রে হয়তো এতদিন এ পরিণতি পেত। বন্ধুরা বা অনেকদিন পর দেখা হওয়া অনেকেই বলে দিতে পারত আমার কথাবার্তায়,আচরণে অনেক পরিবর্তন এসেছে। ইয়াহু তে চলত মধ্যরাতের চ্যাটিং। কতবার বলতাম, আমি এখন যাই; ঠিক তখনি এমন কিছু একটা মজার বলত যাতে আবার চেয়ার এ বসে পড়তে বাধ্য হতাম। আমাকে সে যত রাগানোর চেষ্টা করত, আমার তত হাঁসি পেত। ভাবতাম আচ্ছা পাগল তো! মাঝে মাঝে নতুন নতুন ইমোশন শিখাতাম। তখন তার উচ্ছাস বাচ্চা ছেলেকেও ছাড়িয়ে যেত। অনেকদিনের মরীচিকার প্রতিচ্ছবি দেখতে দেখতে ভিতরে ভিতরে ক্লান্ত হয়ে উঠতাম সত্যিকার জলের তেষ্টায়। এভাবে অনেকদিন কেটে গেল। আমি আর সে দৈবক্রমে একই সাবজেক্ট এ ছিলাম। আমার বেশ কয়েক বছরের সিনিয়র হওয়ায় ইতিমধ্যে সে পাশ করে একটা জব পেয়ে গেল। আমি সামনাসামনি হাল্কা অভিবাদন দিলেও মনে মনে যে কত খুশি হয়েছিলাম তা আমি এই নোট এ লিখে বোঝাতে পারব না। কিন্তু ধীরে ধীরে কেন জানি ছক মিলিয়ে সব হল না। এক সময় অতি সাধারন একটি কারনে আমাকে সে এতই অপমান করল যা আমি আজ এক বছর পরেও ভুলতে পারি না। এই একটি বছর আমি অনেক কারণ খুঁজেছি। হতে পারি আমি দুধে আলতা, হরিণীচক্ষি নই। কিন্তু আমার আবেগে, আমার তার প্রতি প্রার্থনায় কোথাও তো সজ্ঞানে কোনো কমতি রাখিনি! তবে বিধি বাম কেন হলেন !!!!!!! যার জন্য পর পর দুটি টার্মের খারাপ রেজাল্ট আমি অম্লানবদনে মেনে নিয়েছি, সে এরকম কেনো করবে আমার সাথে? আমাদের যতদিন পরিচয় তা তো ভুলিয়ে দেবার জন্য যথেষ্ট যে, আমাদের পরিচয় ফেইসবুক এ নাকি পহেলা বৈশাখ বা একুশে বই মেলায় সরাসরি বন্ধুর কাজিনের সাথে পরিচয়। আমার ভিতরে একটা চতুর্থ সত্ত্বা আছে; যে আমাকে শত দুঃসময়েও সাহস যোগায়। এরইমধ্যে আমি এ কূল ও কূল সব হারিয়ে নিঃস্ব। আমার রেজাল্ট এর দুর্দশা আমার এতদিন এ চোখে পড়ল। সেই অন্ধকার কূয়ার শেষে এসে আমি হতাশায় যখন মুহ্যমান ঠিক তখনি আমার সেই ফোর্থ ডাইমেনসান আমি পরম মমতায় মাথায় হাত বুলিয়ে আবার আগের জীবনে ফিরে যাবার জন্য হাত বাড়িয়ে দিল। আমি আমাকে সান্ত্বনা দিলাম, ঈশ্বর হয়তো জীবনের সব স্বাদ চেখে দেখার জন্যই এ নাটকের অবতারণা করলেন! আমার জীবন-সাহারায় মরুঝড় সাইমন এসে মুহূর্তে যেন আবেগের নব্য জন্মানো নীল নদটিকে ধূলায় ঢেকে দিল। সেই নীল জলের চঞ্চল মৎস্যকন্যাটির টন টন বালুর পাহারের তলায় রচিত হল সমাধি; বালুর পর বালুর চর জমে গড়ে উঠলো দুর্ভেদ্য প্রাচীর। যেখানে আজ কোনো প্রত্নতত্ত্ববিদ সিলিকার পিরামিড খুড়ে খুঁজে পাবেন সুদূর অতীতে প্রবহমান কোনো নদীর গতিপথ যা আচমকাই থেমে গেছে। আর সেই নদীর হাজারো প্রবাহের মোহনায় পড়ে আছে এক মৎস্যকন্যার ফসিল।এখন আমি আর টানেলের শেষ প্রান্তে একটা সূর্য খুঁজি না; আমার ফোর্থ ডাইমেনসান আমি আমাকে দেখিয়েছে অসীম আকাশে সহস্র নক্ষত্র। এতটা দূরে সরে এসে এখন আমি অনেক কিছুই পরিষ্কার দেখতে পাই। ও আসলে অনেক সাধারন ছিল হয়তো। তাই আমার আবেগগুলকে স্বীকৃতি দিতে পারে নি। তবু আমি খুশি এই ভেবে যে, অনেক আগে তার ইউনিভার্সিটি লাইফের শুরুতে যার প্রতি দুর্বল ছিল, তাকেই সে পেয়েছে। আর আমি বুঝতে পেরেছি, যাকে আমি খোলা বই এর পাতার মতো পড়তে পারি তার সাথে হয়তো সারাজীবন আমি সুখী হতে পারতাম না। কিন্তু এত কিছুর পরও আমি তো সব কিছুই মানাতে চেয়েছিলাম; তবে আমি কি এতই মুল্যহীন, এতই সামান্য? তবে থাক, আমার আপনভোলা জীবনটাই ভাল। আজ সে হয়তো মনের শুধু নয়, দেশের গণ্ডী ছাড়িয়ে অনেক দূরে; অনেক জাঁকজমকের দেশে। আজ হয়তো তার জীবনের সব শেয়ার করার সঙ্গীও আছে; কিন্তু আমার মনে কোনও ক্ষোভ নেই; তার জন্য কোনও অভিশাপ নেই। কারণ পছন্দ তো আমার ছিল; আমি কি করে আমার পছন্দকে খারাপ বলি। তাই শেষে কবিগুরুর ভাষায় বলি,“যেতে যেতে একলা পথে নিভেছে মোর বাতি,ঝড় এসেছে ওরে ওরে, ঝড় এসেছে ওরে এবার,ঝড়কে পেলেম সাথী।“ ( এটা আমার জীবনের অত্যন্ত সত্য একটি ঘটনা। হয়তো অনেকের মতো সুন্দর করে লেখা হল না। যারা পড়বেন তারা কোনও ভুলত্রুটির জন্য ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।)
লেখিকা-  বারিধি বিন্দু



 প্রেম সম্পর্কে যখন যা কিছু লেখা হয়েছে সব সত্যি বলেই জানতাম। শেক্সপিয়ারের কোন একটি লেখায় পড়েছিলাম, যে কোন ভ্রমণের পরিসমাপ্তি ঘটে প্রেমিক প্রেমিকার দেখা হবার মধ্য দিয়ে। এর পেছনে হয়তো কবির ধারণা ছিল এরপর থেকেই সত্যিকার অর্থে জীবন একদম বদলে যেতে শুরু করে। কি অসাধারণ একটি ধারণা,তাই না? ব্যক্তিগত ভাবে আমি এক্ষেত্রে মোটেও অভিজ্ঞ নই, কিন্তু বিশ্বাস করতে ইচ্ছে করে যে সে চমৎকার অভিজ্ঞতা শেক্সপিয়ারের হয়েছিল। একসময়, (অনিচ্ছা সত্ত্বেও) সম্ভবতঃ প্রেম নিয়ে একটু বেশীই ভাবতাম অন্য সবার চাইতে। যতটুকু একজন মানুষ সাধারণতঃ এ বিষয়ে ভাবে ,তার চাইতে খানিকটা বেশী। জীবনের এ পর্যায়ে এসে আজও আমি ক্রমাগত অবাক হই প্রেমের সে শক্তির দাপট রোমন্থনে যা কখনো নতুন করে মানবজীবনের সংজ্ঞা নিরুপণ করে দিত কিংবা কখনো এনে দিত আমূল পরিবর্তনের জোয়ার। শেক্সপিয়ার আরও বলেছেন ,প্রেম অন্ধ। আমি এ অভিব্যক্তির সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত। প্রেম অন্ধ বলেই আমরা হাজার দোষে ভরা ,অন্যায়ে জর্জরিত ভালবাসার মানুষটিকে শর্তহীনভাবে ভালোবেসেই যাই সে যত অপরাধ করে থাকুক না কেন। কিছু ধরা পড়লে,তাঁর জন্যে কৈফিয়ত বানাই, ভাবি দেখার ভুল বা হয়তো আমার বোঝার ভুল। এমন কিছুই সে করতে পারে বলে বিশ্বাস করতে চাই না। নিজের সঙ্গে নিজের লড়াইটা হেরে যাই যখন মুখে একটু হাসি লাগিয়ে সে এসে সামনে দাঁড়ায়...কি সহজেই আমরা সব কিছু ভুলে যাই প্রেমকে বাঁচিয়ে রাখার জন্যে। কারও কারও জন্যে প্রেম,অব্যাকৃত ভাবে বিলীন হয়ে যায়;কারও জন্যে হয় বিবর্ণ,কারও জন্যে যায় পুরোপুরি হারিয়ে। অবশ্য সে প্রেম হয়তোবা কখনও ফিরেও পাওয়া যায়- একটি মুহূর্তের জন্যে হলেও। এরপর আবার আরেক ধরনের প্রেম আছেঃ সব চাইতে নিষ্ঠুরতম। যা কিনা তার শিকার কে প্রায় মেরেই ফেলে। তাঁর নাম প্রতিদানহীন ভালবাসা । আর এ ব্যাপারেই আমার রয়েছে এক বিশাল অভিজ্ঞতার ভান্ডার। প্রায় সব প্রেম কাহিনীতে আমরা এমন একটি গল্প পাই যেখানে মানুষ একজন আরেকজনের প্রেমে পড়ে। কিন্তু আমরা বাকীরা যারা গল্পের বাইরের মানুষ? আমাদের তাহলে কি গল্প, যারা একাই প্রেমে পড়ি? আমরা সেই একপেশে প্রেমের ভুক্তভোগী। আমরাই সেসব অভিশপ্ত প্রেমিকা । আবার আমরাই যে কারো সহানুভূতি আর ভালবাসার অনুপযুক্ত। চলমান জীবন্ত লাশ হিসেবেও আমাদের পরিচয় আছে। হ্যাঁ গো! আমি সে দলেরই একজন... জীবনের যে সময় থেকে প্রেম কি জেনেছি সে বয়স থেকে তারপরের ১৩টি বছর একজনকেই অন্তরের সবটুকু মায়ায় সাজিয়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি তার জন্যে যথেষ্ঠ ছিলাম না, বোধকরি তাই নতুনের খোঁজে আমাকে একাকি ফেলে চলে গেল। সুন্দরের পূঁজারী এ পৃথিবী, তাঁর আর কি দোষ দেব? এ জিনিসের যে আমার বরাবর-ই বড় অভাব! নিজেকে মূল্যহীন মনে করতে বাধ্য হলাম । বোধ করি আমার কোন যোগ্যতা নেই কারো মায়া পাবার,একটু সুন্দর কথা শুনতে পাবার কিংবা একটু খানি মায়ার দৃষ্টি পাবার। অযোগ্যতার অপমানের আগুলে জ্বলতে থাকি ! সে যে কি করুণ আর্তনাদের শব্দ সমস্ত প্রাণ জুড়ে! কিন্তু এতটা পুড়েও নিঃশেষ হয়নি জীবন...পোড়া এ জীবন থেমে যায়নি, বয়ে চলেছে অবিরাম...বুকের ভেতরের এমন সব অচেনা জায়গায় ব্যাথা করে যে গুলোর অস্তিত্ব আমারই ভেতরে ছিল, অথচ আজানা ছিল আজ অবধি। বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে অবিরাম আড্ডা,নতুন জায়গায় ঘোরাঘুরি কিংবা যত হাশি গানেই মেতে থাকতে চেয়েছি, সবই অর্থহীন হয়ে পড়তো ...রাতে ঘুমুতে যাবার সময় চোখের সামনে সবিস্তারে ভেসে ওঠে প্রতিটি মুহুর্ত, প্রতিটি ক্ষুদ্র ঘটনা। ভাবতে থাকতাম, আসলে বোঝার ভুলটা কোথায় ছিল? ক্ষণিকের জন্যে নিজেকে এতটা সুখি কিভাবে ভেবেছি, জানি না। নিজেকে বোঝাই, কোন একদিন সে হয়তোবা তাঁর ভুল বুঝতে পারবে, আর বোঝা মাত্রই আমার কাছে ছুটে চলে আসবে! দরজা খুলতেই দেখবো তার সে হাসি লাগা মুখখানি। কিন্তু হায়! বাস্তবে কি তাই হয়?... আহত বনের পশুর মত, শিকারী তীরে কাটা ক্ষতের যন্ত্রণায় কাতর হয়েও আরও একটি সূর্যোদয় দেখি। আজ এত বছর পরও আমার প্রতিটি রাত কাটে ঠিক এভাবেই । নতুন করে আবার শুরু করি এ প্রার্থনায় ,এ অসহনীয় অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো...কোন একদিন। নতুন কোন খানে গিয়ে দাঁড়াবো, দেখা হবে নতুন সব মানুষের সঙ্গে যাদের আন্তরিকতায় নিজেকে এতটা মূল্যহীন,তুচ্ছ মনে হবে না আর। এবং অবশেষে আমার ক্ষয়ে যাওয়া আত্নার ছোট্ট ছোট্ট অংশগুলো আমার মাঝে আবার ফিরে আসতে শুরু করবে একটু একটু করে...আর সীমাহীন কষ্টের আবছা হয়ে আসা সেইসব স্মৃতিগুলোর বিলুপ্তি ঘটবে-অপাত্রে নষ্ট হয়ে যাওয়া বছর গুলোর সঙ্গে সঙ্গে...ক্রমান্বয়ে হারিয়ে যাবে সময়ের ঘূর্ণিপাকে। প্রেমের জন্যে নতুন করে ব্যয় করার মত আমার এখন আর সে সময় বা ক্ষমতা নেই,নেই রুচি,নেই এতটুকু ইচ্ছে। এখনকার প্রেমিক-প্রেমিকারা আমার মত একজীবনে একজন ভালবাসার মানুষে বিশ্বাসী নয়। এখন বহুমুখি প্রেমের যুগ। এখানে আমি বড় সেকেলে। এগুলো দেখে শিউরে উঠি। একা আছি,ভালোই তো আছি ! আমি এভাবেই থাকতে চাই। দোহাই লাগে, আমাকে আমার মত থাকতে দাও!
লেখক--হানা আহমেদ 



 I will show you how to download WhatsApp on your PC/Laptop using Youwave Android emulator. Simply follow the below steps in minutes you can use WhatsApp in Your PC.
Update(22/1/2015) : WhatsApp Web Version on PC Available now. You can use any method.
whatsapp web version on PC
Whatsapp web version on PC. Click on the above link.

Download WhatsApp For Windows 7 / 8/8.1 PC Without using Bluestacks

  1. First go to Youwave Android Emulator official website and download the software using below provided link.
  • If the above link is not working then try this Orginal Youwave download from official site.
  • Download Youwave software for free from the above URL.
  • After completion of your download, install the software and head over below procedure.
If you successfully install Youwave software open it; then, you will see a screen like below.
download whatsapp for windows 7
Starting screen of Youwave Android Emulator
  • Click on view button which is located at the left side top. You will see a drop down menu there click on online content.
  • After clicking on online content you will get options like the below image there as you can expect click on whatsapp. Now you freely download WhatsApp for PC.
Install Whatsapp on computer
  • Once clicking on whatsapp wait for few seconds after that whatsapp will be installed on your computer.

Activate WhatsApp in Your Windows 7 or Windows 8/8.1 PC

Now, Go to home screen click on right top corner as you can see in first image. That is menu button after pressing that one you will see all installed applications. There you can find whatsapp.
>> Open whatsapp and enter your country code or simply select your country and enter your phone number.
After entering phone wait for 5 minutes for auto verification. After 5 minutes you will get option to get the code via call like in image below. Click on call me and listen the code and enter the verification code there.
Whatsapp verification for windows pc
Hold on… don’t go away : Check out below paragraph to know “how to add contacts in WhatsApp for PC“.
Watch Movies in your android phone with this app called Showbox.

Adding Contacts in WhatsApp For PC (Updated on Nov 8th-2014)

Many people who are successfully installed WhatsApp, they are asking me that how can I add contacts in WhatsApp. So here is the simple way to add new contacts and friends in your WhatsApp (in Windows laptop or PC). First of all open your WhatsApp in YouWave Software. Later Click on the Menu icon(horizontal line in top right side). Now follow the images.
Whatsapp free contacts add
Follow as it is in Image
Add contacs in windows pc
Enter details and click on done.
  • That’s it friends. Now you can see your newly added friend in contacts list.
This is the easiest way to download whatsapp for PC free. I hope you like simple tutorial. If you want to install whatsapp on windows mobile you can download whatsapp for windows phone here. That’s it friends. I hope you like this easy tutorial. If you liked it share it on Facebook or twitter or Google+.
Thanks to...  Fast Tech Buzz