চট্টগ্রাম থেকে ৯২ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্বে পাহাড়ী শহর বান্দরবান। বান্দরবান জেলা হচ্ছে চট্টগ্রাম বিভাগে। এর আয়তন ৪৪৭৯ বর্গ কিলোমিটার। প্রাকৃতিক সৌর্ন্দয্যের অবারিত সবুজের সমারোহ এবং মেঘে ছুঁয়ে দেখার ইচ্ছে যার আছে সে বাংলাদেশের পাহাড়ী কন্যা বান্দরবান ঘুরে আসতে পারেন। চলুন জেনে নেই বিস্তারিত। 

Hilly city Bandarban is located in 92 km South-East of Chittagong city. It's area nearly 4479 square km. To touch the cloud and see the lash green natural beauty you must go to Hilly daughter of Bangladesh, Bandarban. Here is the Details:

দেখার মত জায়গাঃ [Attractive Locations]

১। নীলগিরি (Nilgiri)

২। স্বর্ণমন্দির (Golden Temple)

৩। মেঘলা (Meghla)

৪। শৈল প্রপাত (Shoilo Falls)

৫। নীলাচল (Nilachol)

৬। মিলনছড়ি (Milonchori)

৭। চিম্বুক (Chimbuk Hill)

৮। সাঙ্গু নদী (Sangu River)

৯। তাজিলডং (Tajindong Hill)

১০। কেওক্রাডং (Keokaradang Hill)

১১। জাদিপাই ঝরণা (Jadipai Falls)

১২। বগালেক (Boga Lake)

১৩। মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স (Mirinja Tourist Complex)

১৪। প্রান্তিক লেক (Prantik Lake)

১৫। ঋজুক জলপ্রপাত (Rujuk Falls)

১৬। নাফাখুম জলপ্রপাত (Nafakhum Falls)

এছাড়া বান্দরবানে কয়েকটি ঝিরি রয়েছে। যেমনঃ চিংড়ি ঝিরি, পাতাং ঝিরি, রুমানাপাড়া ঝিরি।
There are few more Hilly water Flows (Jhiri), named: Chingri Jhiri, Patang Jhiri, Rumanapara Jhiri etc.

যাতায়াতঃ
ঢাকা থেকে ট্রেনে বা বাসে প্রথমে চট্টগ্রাম তারপর চট্টগ্রাম থেকে সোজা বান্দরবান; অথবা ডাইরেক্ট বান্দরবান যাওয়া যায়।

ঢাকা থেকে বান্দরবান সরাসরিঃ
ঢাকা থেকে বান্দরবান পযর্ন্ত ডাইরেক্ট নন এসি ভাড়া জনপ্রতিঃ ৫৫০-৬২০ টাকা। এসি ৯৫০ টাকা (অক্টোবর, ২০১৪)
এস আলম, হানিফ, ইউনিক ইত্যাদি বাস ছাড়ে ফকিরাপুল/ কমলাপুর রেল ষ্টেশনের বিপরীত কাউন্টার থেকে।

ঢাকা থেকে চট্টগ্রামঃ
ট্রেনে: এসি সিট ৭৩০ টাকা, এসি বার্থ ১১৬০ টাকা।
নন এসি- সুলভঃ ১৬০/=, শোভন ২৬৫/=, শো. চেয়ার ৩২০/=, ১ম সিট ৪২৫/=, ১ম বার্থ ৬৩৫/=, স্নিগ্ধা ৬১০/= (Dec, 2014)
বাস: এসি- ৮০০-১২০০ টাকা। নন এসি- ৩০০-৪৫০ টাকা।

চট্টগ্রাম থেকে বান্দরবানঃ
বহদ্দারহাট টার্মিনাল থেকে পূরবী এবং পূর্বাণী নামক দুটি ডাইরেক্ট নন এসি বাস আছে। ৩০ মিঃ পর পর বান্দরবানের উদ্দ্যেশে ছেড়ে যায়।

Transportation:
You can go directly to Bandarban, or firstly Chittagong & then Bandarban.

Dhaka to Bandarban Directly:
Non-AC bus 550-620 tk. (October, 14) Buses available in Fakirapul/ Kamalapur of Dhaka city.

Dhaka to Chittagong to Bandarban:
Dhaka to Chittagong:
Bus> AC 800-1200 tk, Non-AC 300-450tk
Train> AC Sit 730 tk, Non-AC (160 Sulov), (265 Shovn), (320 Shovon chair), (425 1st class), (635 1st barth) [Dec, 2014]
Chittagong to Bandarban: Purobi & Purbani Bus are available from Boddarhat Bus Terminal of Chittagong city.

কোথায় থাকবেন:

হোটেল ফোর স্টার : (বান্দরবান সদর) Hotel Four Star (Banndarban City)
সিঙ্গেল ৩০০ টাকা, ডাবল-  ৬০০, ট্রিপল ৯০০ টাকা, এসি ডাবল- ১২০০ টাকা।, এসি ট্রিপল ১৫০০ টাকা।
Single 300tk, Double 600tk, Triple 900tk, AC Double 1200tk, AC Triple 1500tk
Phone: 0361-63566, 0361-62466, 01813278731, 01553421089

হোটেল থ্রী স্টার : এটি বান্দরবান বাস স্টপের পাশে অবস্থিত। নীলগিরির গাড়ী এই হোটেলের সামনে থেকে ছাড়া হয়। এটি ৮/১০ জন থাকতে পারে ৪ বেডের এমন একটি ফ্ল্যাট। প্রতি নন এসি ফ্ল্যাট-২৫০০ টাকা, এসি-৩০০০ টাকা। বুকিং ফোন: থ্রী স্টার এবং ফোর ষ্টার হোটেল মালিক একজন, মানিক চৌধুরী-০১৫৫৩৪২১০৮৯।
Hotel Three Star: situated beside Bandarban Bus Stop. Non-AC Flat 2500tk, AC Flat 300tk. For Booking: Manik Chowdhuri 01553421089

হোটেল প্লাজা বান্দরবান: (সদর) Hotel Plaza Bandarban
Single 400tk, Double 850tk, AC 1200tk.
Booking Phone: 0361-63252

হোটেল গ্রিন হিলঃ (বান্দরবান সদর) Hotel Green Hill
Single 200tk, Double 350tk, Triple 500tk
Phone: 0361-62514, Cell: 01820400877

হোটেল হিল বার্ড  (বান্দরবান সদর) Hotel Hill Bird
Single 250tk, Double 400tk, Triple 550tk
Phone: 0361-62441, Cell: 01823346382

হোটেল পূরবীঃ (বান্দরবান সদর) Hotel Purobi
AC Deluxe 1400tk, AC Room 1200tk, General Single 259tk,
General Double 460tk, General Triple 600tk, General Couple 400tk
Phone: 0361-62531, Cell: 0155 6742434

** হোটেল ভাড়া সমূহ Dec, 2011 এর।


নীলগিরি [Nilgiri]


নীলগিরি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ পর্যটন কেন্দ্র। এ পর্যটন কেন্দ্রের উচ্চতা প্রায় ৩ হাজার ফুট। এটি বান্দরবান জেলার থানছি উপজেলায় অবস্থিত। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পূর্ব দিকে অবস্থিত এই পর্যটন কেনেদ্রর অবস্থান। এ পর্বতের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের সবচেয়ে অবহেলিত উপজাতী সম্প্রদায় ম্রো পল্লী। যাদের বিচিত্র সংস্কৃতি দেখার মত। বর্ষা মৌসুমে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রথেকে মেঘ ছোয়ার দূর্লভ সুযোগ রয়েছে। শুষ্ক মৌসুমে নীলগিরি থেকে সূর্যদয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়। বান্দরবানের সবচেয়ে সুন্দর ও আধুনিক পর্যটন কেন্দ্র এটি। এটি সেনা তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হয়। এর পাশেই রয়েছে একটি সেনা ক্যাম্প। নিরিবিলিতে স্বপরিবারে কয়েক দিন কাটাতে এটি একটি আর্দশ জায়গা।

Nilgiri is the highest tourist spot of Bangladesh with nearly 3000feet. It is situated in Dhanchi Upazila of Bandarban District. It is located in 45km South-East of Bandarban city. Tribal group 'Mro' lived there with a colorful culture. You can touch cloud from here in Rainy season. Both sunset and sun rise can be seen from here in Dry season. It is the most beautiful and modern tourist spot of Bandarban. It is managed by Bangladesh Army. It is ideal place for you to spend few of you days.

যাতায়াতঃ
পর্যটকদের নীলগিরি যেতে হলে বান্দরবান জেলা সদরের রুমা জীপষ্টেশন থেকে থানছিগামী জীপ অথবা বাসে করে নীলগিরি পর্যটন কেনেদ্র যাওয়া যায়। বান্দরবনা জীপ ষ্টেশন থেকে জীপ, ল্যান্ড রোভার, ল্যান্ড ক্রুজারসহ অন্যান্য হালকা গাড়ী ভাড়ায় পাওয়া যায়। নীলগিরি যাওয়ার পথে সেনা চেকপোষ্টে পর্যটকদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। বান্দরবান জেলা সদর থেকে সাধারণত বিকেল ৫ টার পর নীলগিরির উদ্দেশে কোন গাড়ী যেতে দেয়া হয় না।
ভাড়াঃ সেনাবাহিনী কর্তৃক নির্ধারিত আসা-যাওয়া-ছোট জীপঃ (৫সিট) ২৩০০ টাকা এবং বড় জীপ (৮সিট) ২৮০০ টাকা

Transportation:
Jeep and Bus are available in Ruma Jeep station towards Thanchi. Jeep, Land Rover, Land Cruser etc are available in Bandarban Jeep station. Army check-post collects detail information of the tourists. Transportation are not available towards Thanchi after 5pm. Small Jeep (5 seat) 2300tk and Large Jeep (8 seat) 2800tk.

নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র বান্দরবান জেলা সদর থেকে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসা যায়। এ ছাড়া নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্র রাত্রি যাপনের জন্য বান্দরবান সদর সেনা রিজিয়নে বুকিং দেয়া যায়। তাছাড়া নীলগিরি পর্যটনে গিয়ে সরাসরি বুকিং করা যায়। বান্দরবান জেলা সদর থেকে নীলগিরি পর্যটন কেন্দ্রের যোগাযোগ ব্যবস্থা উন্নত হওয়ায় অধিকাংশ পর্যটক দিনে গিয়ে দিনেই ফিরে আসেন।

You can complete Nilgiri travel in one day from Bandarban. Moreover, you can book Nilgiti Tourist Center for Night hold. Booking can be made in Army region or directly to the Tourist center. But most of the tourist use one day, because transportation system is well developed.

সাধারন পর্যটকের জন্য নীলগিরি কর্টেজ বুকিং ব্যবস্থাঃ
পেট্রো এভিয়েশন
৬৯/২, লেভেল-৪,রোড-৭/এ, ধানমন্ডি, ঢাকা।
ফোন:-মনতোষ মজুমদারঃ ০১৭৩০০৪৩৬০৩ এবং হাসান সাহেদঃ ০১৭৩০০৪৩৬০৩।

You can book cotage from Dhaka:
Petro Aviation
69/2, Level 4, Road 7/A, Dhanmandi, Dhaka.
Phone: 01730043603

কটেজ ভাড়া: Cotage Fare
গিরি মারমেট: ৭৫০০ টাকা। (৮/১০ জন থাকতে পারবে)। Giri Mermaid 7500tk (8/10 persons)
মেঘদূত: ৬৫০০ টাকা। (৮/১০ জন থাকতে পারবে)। Meghdut 6500 (8/10 persons)
নীলাঙ্গনা: ৫৫০০ টাকা। (৪/৬ জন থাকতে পারবে ২ রুমে) কাপলরা ২৭৫০টাকায় ১ রুম ভাড়া পাবেন। Nilangona 5500tk (4/6 persons). Couples can get a room for 2750tk.


স্বর্ণমন্দির [Golden Temple]


বান্দরবানের উপশহর বালাঘাটাস্থ পুল পাড়া নামক স্থানে এর অবস্থান। বান্দরবান জেলা সদর থেকে এর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। সুউচ্চ পাহাড়ের চুড়ার তৈরী সুদৃশ্য এ প্যাগোডা। এটি বুদ্ধ ধর্মালম্বীদের একটি পবিত্র তীর্থস্থান । এখানে দেশ বিদেশ থেকে অনেক বুদ্ধ ধর্মালম্বী দেখতে এবং প্রার্থনা করতে আসেন। এর অপর নাম মহাসুখ প্রার্থনা পূরক বুদ্ধধাতু চেতী। গৌতমবুদ্ধের সম-সাময়িক কালে নির্মিত বিশ্বের সেরা কয়েকটি বুদ্ধ মুর্তির মধ্যে একটি এখানে রয়েছে। প্রায় ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এ প্রকল্প নির্মানাধীন রয়েছে। এই প্যাগোডাটি দক্ষিন পূর্ব এশিয়ার সেরা গুলোর মধ্যে অন্যতম। এই সুউচ্চপাহাড়ের উপর দেবতা পুকুর নামে একটি পানি সম্বলিত ছোট পুকুর আছে।

এই প্যাগোডা থেকে বান্দরবানের বালাঘাটা উপশহর ও এর আশপাশের সুন্দর নৈস্বর্গিকদৃশ্য দেখা যায়। এ ছাড়া বান্দরবান রেডিও ষ্টেশন, বান্দরবান চন্দ্রঘোনা যাওয়ার আকাঁবাকাঁ পথ ও দর্শনীয়। এই প্যাগোডা একটি আধুনিক ধর্মীয় স্থাপত্যের নিদর্শন। প্রতিবছর নিদ্দিষ্ট সময়ে এখানে মেলা বসে। এই প্যাগোডা বা জাদীটি স্বর্ণ মন্দির হিসেবেও পরিচিত। এ প্যাগোডাটি পুজারীদের জন্য সারাদিন খোলা থাকে আর ভিন্ন ধর্মাবলী দর্শনার্থীদের জন্য বিকেল ৫ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত খুলে দেওয়া হয় । প্রবেশ মূল্য জনপ্রতি ১০/-।

A Buddhist Pagoda/temple, situated in the hill top of Balaghat, 4km away from Bandarban city. It is considered as one of the best Pagoda South-East Asia. There is a small pond over the hill, named Debota pond. Balaghat suburb and the surroundings can be seen from the hilltop. It is a sign of a modern religious structure. It is open for the tourist from 5pm to 7pm with 10tk entrance fee.

রিক্সা অথবা টেক্সি করে যাওয়া যায় । রিক্সা ৩০-৩৫ টাকা এবং টেক্সি রিজার্ভ ১১০-১৩০ টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে। সকাল ৮টা থেকে রাত ১০ পর্যন্ত এখানে গাড়ী চলাচল করে।  ফোনঃ ০৩৬১৬২৬৯৫

You can go to Golden Temple by Rickshaw (30-35tk) and Texi (110-130tk). Available from 8am to 10pm.


মেঘলা পর্যটন কেন্দ্র [Meghla Tourist Spot]


বান্দরবান শহরের প্রবেশদ্বার বান্দরবান কেরাণীহাট সড়কের পাশেই পার্বত্য জেলা পরিষদ সংলগ্ন এলাকায় মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স অবস্থিত। পাহাড়ের খাদে বাধঁ নির্মান করে কৃত্রিম হ্রদের সৃষ্টি করা হয়েছে । বান্দরবান শহর থেকে এর দূরত্ব ৪ কিলোমিটার। বেড়াতে আসা পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য এখানে রয়েছে শিশুপার্ক, নৌকা ভ্রমনের সুবিধা, ঝুলন্ত সেতুর মাধ্যমে চলাচলের ব্যবস্থা এবং সাময়িক অবস্থানের জন্য একটি রেষ্টহাউস। এছাড়া আকর্ষণীয় একটি চিড়িয়াখানা এ কমপ্লেক্সের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করেছে বহুগুন। মেঘলায় ২টি ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। জনপ্রতি ১০/- মূল্যে টিকেট নিয়ে প্রবেশ করতে হবে। বান্দরবান জেলা প্রশাসনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এটি পরিচালিত হয়। প্রতি বছর শীতের মৌসুমে সারা দেশ থেকে অসংখ্য পর্যটক বেড়াতে আসেন। নিরিবিলিতে স্বপরিবারে বেড়ানোর জন্য একটি আদর্শ জায়গা ।

Meghla Tourist Complex is situated in Hilly District Parishad area, beside Bandarban to Keranihat Road, which is 4km away from Bandarban city. Artificial lake is created by making dam in hill shaft. Children's park, Boat riding, hanging bridge and rest house are available here. Moreover, there is a zoo in this tourist complex. It is an ideal place for family tour. It is managed by Bandarban District Administration. Entry fee 10tk.


যাতায়াত এবং থাকা-খাওয়াঃ
মেঘলায় বেড়াতে আসা পর্যটকদের খাবার ও রাত্রিযাপনের জন্য বান্দরবান শহরে কিছু মাঝারি মানের হোটেল রয়েছে। এছাড়া পর্যটকদের জন্য খাবার ও রাত্রিযাপনের জন্য পাশেই সু-ব্যবস্থা রয়েছে । মেঘলার পাশেই রয়েছে  বান্দরবান পর্যটন মোটেল ও হলিডে ইন নামে দুইটি আধুনিক মানের পর্যটন কমপ্লেক্স। এখানে এসি ও নন এসি রুমসহ রাত্রি যাপন ও উন্নতমানের খাবারের ব্যবস্থা রয়েছে। ফোনঃ ৬২৯১৯। বান্দরবান বাস ষ্টেশন থেকে মেঘলা পর্যটন কমপ্লেক্স যেতে লোকাল বাসে জনপ্রতি ১০-১২ টাকা এবং টেক্সি রিজার্ভ ১০০-১২০ টাকা, এবং ল্যান্ড ক্রোজার, ল্যান্ড রোভার ও চাঁদের গাড়ী ৪৫০-৫০০/- টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকে।

বান্দরবনে পর্যটন কর্পোরেশনের একটি হোটেল আছে মেঘলাতে।
যার ভাড়া রুম প্রতি ৭৫০ হইতে ২০০০টাকা পর্যন্ত। বুকিং ফোন: 0361-62741 এবং  0361-62742।

হলিডে ইন (মেঘলা)
জেনারেল রুম ১০০০ টাকা, নন এসি ১৩০০ টাকা, এসি ১৫০০ টাকা; ফোন: 0361-62896

Transportation & Accommodation
Local Buses are available from Bandarbar Bus Station (10-12tk). Texi reserv100-120tk. Land Cruser, Land Rover will take 450-500tk for Meghla. Tourist Motel and Holiday Inn Hotel are available in Meghla, fare nearly 750-2000tk.

শৈল প্রপাত


বান্দরবান রুমা সড়কের ৮ কিলোমিটার দূরে শৈলপ্রপাত অবস্থিত। এটি প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অপূর্ব সৃষ্টি। ঝর্ণার হিমশীতল পানি এখানে সর্বদা বহমান। এই ঝর্ণার পানিগুলো খুবই স্বচ্ছ এবং হীম শীতল। বর্ষাকালে এ ঝর্ণার দৃশ্য দেখা গেলেও ঝর্ণাতে নামা দুস্কর, বছরের বেশীর ভাগ সময় দেশী বিদেশী পর্যটকে ভরপুর থাকে। রাস্তার পাশে শৈল প্রপাতের অবস্থান হওয়ায় এখানে পর্যটকদের ভিড় বেশী দেখা যায়। এখানে দুর্গম পাহাড়ের কোল ঘেশা আদিবাসী বম সম্প্রদায়ের সংগ্রামী জীবন প্রত্যক্ষ করা।

যাতায়াতঃ
বান্দরবান শহর থেকে টেক্সি, চাঁদের গাড়ি কিংবা প্রাইভেট কার ও জীপ ভাড়া করে শৈলপ্রপাতে যাওয়া যায়। শহর থেকে জীপ গাড়ীতে ৬০০-৭০০ টাকা এবং চাঁদের গাড়ীতে ৪৫০-৫০০ টাকা লাগবে।


নীলাচল ও শুভ্রনীলা


নীলাচল

বান্দরবান জেলা শহেরর নিকটবর্তী পর্যটন কেন্দ্র। এটি জেলা সদরের প্রবেশ মুখ টাইগার পাড়ার নিকট পাশাপাশি অবস্থিত এ পর্যটন কেন্দ্র দুটি। নীলাচল জেলা প্রশাসন ও শুভ্রনীলা বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সার্বিক তত্ত্বাবধানে এ দুটি পর্যটন কেন্দ্রটি পরিচালিত হয় । এ পর্যটন কেনেদ্রর উচ্চতা প্রায় ১৭০০ ফুট। বান্দরবান জেলা সদর থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এই পর্যটন কেনদ্র অবস্থিত। এ পাহাড়ের উপর নির্মিত এ দুটি পর্যটন কেনদ্র থেকে পার্শ্ববর্তী এলাকার দৃশ্য দেখতে খুবই মনোরম।


শুভ্রনীলা

যাতায়াতঃ
বান্দরবান শহরের বাস ষ্টেশন থেকে জীপ, ল্যান্ড ক্রু জার, ল্যান্ড রোভার ভাড়া নিয়ে যেতে হবে অথবা বান্দরবান শহরের সাঙ্গু ব্রীজের কাছে টেক্সি ষ্টেশন থেকে টেক্সি ভাড়া নিয়ে নীলাচল ও শুভ্রনীলায় যেতে পারেন । জীপ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার ৬০০-৭০০/-, টেক্সি ৩০০/- মত নিয়ে থাকে। রেস্ট হাউজ বুকিং: ০৩৬১-৬২৬০৫, ০১৭১৪২৩০৩৫৪, ০১৭১২৭১৮০৫১


মিলনছড়ি


মিলনছড়ি বান্দরবান শহর হতে ৩ কি:মি: দক্ষিণ পূর্বে শৈল প্রপাত বা চিম্বুক যাওয়ার পথে পড়ে। এখানে একটি পুলিশ পাড়ি আছে। পাহাড়ের অতি উচ্চতায় রাস্তার ধারে দাড়িয়ে পূর্ব প্রান্তে অবারিত সবুজের খেলা এবং সবুজ প্রকৃতির বুক ছিড়ে সর্পিল গতিতে বয়ে সাঙ্গু নামক মোহনীয় নদীটি।  হিল সাইড রিসোর্টঃ ফোন: 01556539022, 01730045083


চিম্বুক


বাংলাদেশের তৃতীয় বৃহত্তম পর্বত। চিম্বুক সারা দেশের কাছে পরিচিত নাম। বান্দরবান জেলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার দূরে চিম্বুক পাহাড়ের অবস্থান। সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে এর উচ্চতা প্রায় ২৫০০ শত ফুট। চিম্বুক যাওয়ার রাস্তার দুই পাশের পাহাড়ি দৃশ্য খুবই মনোরম। চিম্বুক যাওয়ার পথে সাঙ্গু নদী চোখে পড়ে। পাহাড়ের মাঝে আঁকা বাঁকা পথ বেয়ে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ সড়ক দিয়ে এতে যাতায়ত মনে হবে গাড়ীতে করে চাঁদের বুকে পাড়ি জমানোর অনুভূতি। ২৫০০ ফুট উঁচুতে দাঁড়িয়ে এ অপরুপ বিচিত্র দৃশ্য দেখতে পাবেন চিম্বুকে।

চিম্বুক পাহাড় থেকে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের নিচ দিয়ে মেঘ ভেসে যাওয়ার দৃশ্য অবলোকন করা যায়।এখান থেকে পার্শ্ববর্তী জেলা কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম এর বিভিন্ন উপজেলাগুলোকে দেখা যায়। বর্ষা মৌসুমে চিম্বুক পাহাড়ের পাশ দিয়ে ভেসে যাওয়া মেঘ দেখে মনে হয় মেঘের স্বর্গরাজ্য চিম্বুক। মেঘের হালকা হিম ছোঁয়া যেন মেঘ ছোয়ার অনুভূতি। চিম্বুককে বাংলার দার্জিলিং বলা হয়।

চিম্বুক থানছি সড়কের দূর্গম পাহাড়ী এলাকায় অবস্থিত হওয়ায় এখানে হোটেল বা রেস্তোরাঁগড়ে ওঠেনি। জেলা প্রশাসকের তত্ত্বাবধানে একটি রেষ্টহাউস আছে। জেলা প্রশাসকের অনুমোতিক্রমে রাত্রি যাপনের সুযোগ রয়েছে। চিম্বুকের পাশে সেনাবাহিনীর ক্যান্টিন রয়েছে। এখানে সকালের নাস্তা ও দুপুরে খাবার পাওয়া যায়। এছাড়া খাবারের জন্য বান্দরবান থেকে চিম্বুক যাওয়ার পথে মিলনছড়ি ও শাকুরা নামে ২টি পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। চিম্বুক যাওয়ার পথে বান্দরবান থেকে হালকা খাবার ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্র নিয়ে যাওয়ায় উত্তম।

যাতায়াতঃ চিম্বুক যেতে হলে বান্দরবান শহরের রুমা বাস স্টেশন থেকে চাঁদের গাড়ি হিসেবে পরিচিত জীপ, ল্যান্ড ক্রুজার, ল্যান্ড রোভার, পাজেরো এবং বান্দরবান-থানছি পথে যাতায়তকারী বাস ভাড়া নিতে হবে (স্পেশাল বাস যা দূর্গম পাহাড়ী পথে চলাচল করতে সক্ষম)। নিজস্ব গাড়ী হলে ভাল হয়। রাস্তা অত্যান্ত দূর্গম হওয়ায় বাসে যাতায়ত করা ঝুঁকিপূর্ণ। চাঁদের গাড়ীতে জন প্রতি ৫০-৬০ টাকা এবং ল্যান্ড ত্রুজার রির্জাভ ১৭০০-১৮০০/-, ল্যান্ড রোভার, পাজেরো ২১০০-২২০০/- টাকা মত নিয়ে থাকে। চিম্বুক থানছি পথে বিকেল ৪ টার পরে কোন গাড়ী চলাচল করে না বিধায় পর্যটকদের ৪ টার মধ্যে ফিরে আসা উচিত।


সাঙ্গু নদী

<নাহিদ>

পূর্বের অতিউচ্চ পর্বত শীর্ষ থেকে সাঙ্গু নদী নেমে এসে বান্দরবন শহরের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে বঙ্গোপসাগরে মিশে গেছে। বান্দরবান শহরের পূর্বে পাশে পাহাড়ী ঢালে বয়ে চলা সাঙ্গু নীদ দেখতে দারুন দৃষ্টি নন্দন।

বগালেক

<নাহিদ><নাহিদ>

সমুদ্র পৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৩ হাজার ফুট উঁচু পাহাড়ে প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বগালেক। কেওকারাডাং এর কোল ঘেঁষে বান্দারবান শহর থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে এবং রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ১৮ কিলোমিটার দূরে এর অবস্থান। পাহাড়ের উপরে প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে এই লেকের অবস্থান। এ পানি দেখতে প্রায় নীল রঙের। এ লেকের পাশে বাস করে পার্বত্য চট্টগ্রামের ক্ষুদ্র উপজাতীয় বম ও খুমী সম্প্রদায়।  অদ্ভুদ সুন্দর এই নীল রঙ্গের লেকের সঠিক গভীরতা বের করা যায়নি। স্থানীয়ভাবে দুইশ' থেকে আড়াইশ' ফুট বলা হলেও সোনার মেশিনে ১৫১ ফুট পর্যন্ত গভীরতা পাওয়া গেছে। এটি সম্পূর্ণ আবদ্ধ একটি লেক। এর আশেপাশে পানির কোন উৎসও নেই। তবে বগালেক যে উচ্চতায় অবস্থিত তা থেকে ১৫৩ মিটার নিচে একটি ছোট ঝর্ণার উৎস আছে যা বগাছড়া (জ্বালা-মুখ) নামে পরিচিত। সবচেয়ে মজার বিষয় হচ্ছে লেকের পানি প্রতি বছর এপ্রিল থেকে মে মাসে ঘোলাটে হয়ে যায়।

রাত্রি যাপনের জন্য বগালেকে জেলা পরিষদের অর্থায়নে একটি রেষ্টহাউস নির্মান করা হয়েছে। এছাড়া স্থানীয় বম উপজাতী সম্প্রসাদায় কিছু ঘর ভাড়ায় দিয়ে থাকে । বগালেকের পাড়েই বসবাসরত বম সম্প্রদায় পর্যটকদের জন্য রান্না-বান্নার ব্যবস্থা করে থাকে ।  রুমা বাজার থেকে প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার ক্রয় করে নেওয়াই শ্রেয়। উল্লেখ্য যে, নিরাপত্তার জন্য রুমা ও বগালেক সেনা ক্যাম্পে পর্যটকদের রিপোর্টে করতে হয়। স্থানীয় গাইড ছাড়া পায়ে হেটে রুমা থেকে অন্য কোন পর্যটন কেন্দ্রে যাওয়া উচিত নয়।

যাতায়তঃ শুষ্ক মৌসুমে বান্দরবান জেলা সদরের রুমা জীপ ষ্টেশন থেকে রুমাগামী জীপে করে রুমা সেনা গ্যারিসন (রুমা ব্রীজ) পর্যন্ত যাওয়া যায়। সেখান থেকে নৌকায় করে ২০ মিনিট পথ পাড়ি দিয়ে রুমা উপজেলা সদরে যেতে হয়। বর্ষাকালে রুমাগামী জীপ কইক্ষ্যংঝিড়ি পর্যন্ত যায় । তারপর ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে প্রায় ১ ঘন্টার অধিক পথ পাড়ি দিয়ে রুমা সদরে যেতে হয় । রুমা থেকে পায়ে হেটে অথবা জীপে করে বগালেক যেতে হয় । বর্ষা মৌসুমে বগা লেক যাওয়া নিতান্তই কষ্টসাধ্য তাই বগালেক ভ্রমনে শীতকালকে বেছে নেওয়া শ্রেয়ে। বান্দরাবন থেকে রুমা উপজেলা সদরে যেতে খরচ হবে জন প্রতি ৮০/- অথবা পুরো জীপ ভাড়া করলে ২২০০-২৫০০/- আর রুমা থেকে বগালেক যেতে জনপ্রতি ৮০-১০০/- অথবা পুরো জীপ ভাড়া করলে ২২০০-২৫০০/- পর্যন্ত ।


 কেওক্রাডং এবং  তাজিংডং

<নাহিদ><নাহিদ>
কেওক্রাডং এর চূড়া থেকে দৃশ্য

বেসরকারি হিসাবে পর্বত শৃঙ্গ তাজিংডং বাংলাদেশের চতুর্থ। উচ্চতা ১২৮০ মিটার।  কেওক্রাডং বাংলাদেশের ৩য় সর্বোচ্চ পর্বত শৃঙ্গ। উচ্চতা ১২৯০ ফুট।  স্থানীয় উপজাতীয়দের ভাষায় ‘তাজিং’ শব্দের অর্থ বড় আর ‘ডং’ শব্দের অর্থ পাহাড় যা একত্রিত করলে হয় তাজিংডং। এটি বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার রেমাক্রী পাংশা ইউনিয়নে অবস্থিত। রুমা উপজেলা সদর থেকে ২৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই পর্বতের অবস্থান। বর্ষা মৌসুমে তাজিংডং যাতায়ত অত্যান্ত কষ্টকর। শুষ্ক মৌসুমে অনেক পর্যটককে এডভেঞ্চার হিসাবে পায়ে হেটে তাজিংডং যেতে দেখা যায়। বর্তমানে রুমা উপজেলা সদর থেকে চাঁদের গাড়ীতে করে কেওক্রাডং এর কাছাকাছি যাওয়া যায়।

যাত্রার জন্য বগালেক থেকে খুব ভোরে যাত্রা করতে হবে সেক্ষেত্রে আসা যাওয়াসহ ৮-১০ ঘন্টা হাটার অভ্যাস থাকতে হবে। তাজিংডং ভ্রমনকারীদের অবশ্যই ভ্রমনের সময় শুকনো খাবার, খাবার পানি, জরুরী ঔষুধপত্র সঙ্গে নিতে হবে। যাত্রাপথ দূর্গম ও কষ্টসাধ্য বিধায় মহিলা ও শিশুদের নিয়ে এ পথে যাত্রা করা উচিত নয়। রুমা উপজেলা সদরে রাত্রিযাপনের জন্য কয়েকটি হোটেল থাকায় দলবেধেঁ যাত্রা করার আগে হোটেল বুকিং করা হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত হয়ে নিন।

পর্যটকদের তাজিংডং যেতে হলে বান্দরবান জেলা সদর থেকে প্রথম যেতে হবে রুমা উপজেলা সদরে। রুমা উপজেলা যাত্রা পথে রুমা সেনা গ্যারিসনে পর্যটকদের নাম ও ঠিকানা লিপিবদ্ধ করতে হবে। পরবর্তীতে রুমা উপজেলা সদর সেনা ক্যাম্পে আবার ও রির্পোট করতে হবে। রুমা উপজেলা সদর থেক সাধারণত বিকাল ৪ টার পরে বগালেক, কেওক্রাডং বা তাজিংডং এর উদ্দেশে যেতে দেয়া হয় না। যাত্রা যদি হয় বর্ষা মৌসুমে তাহলে বান্দরবান শহরের রুমা জীপ ষ্টেশন থেকে রুমাগামী চাঁদের গাড়ীতে করে কৈক্ষ্যং ঝিড়ি যেতে হবে। তারপর নৌকায় ১ ঘন্টার পথ পাড়ি দিয়ে রুমা সদর। যদি শীতের মৌসুম হয় তাহলে জীপে করে রুমা উপজেলা সদরের কাছে বোটঘাটায় পৌছে দেবে গাড়ী, সেখান থেকে নৌকায় করে ১৫-২০ মিনিটের নৌকা ভ্রমন শেষ আপনি রুমা উপজেলা সদরে পৌছাতে পারবেন। রুমা উপজেলা সদর থেকে পায়ে হেটে বগালেক হয়ে কেওক্রাডং এর পাশ দিয়ে তাজিংডং যেতে হয়।

থাকা ও খাওয়ার ব্যাবস্থা হবে বগা লেক, দার্জেলিং পাড়াতে... রুমা বাজার থেকে বগালেক/ কেওকারাডাং/ তাজিংডং/ জাদিপাই যেতে হলে গাইড নেওয়া লাগবে... কেওকারাডাং পর্যন্ত গাইড প্রতিদিন ৫০০টাকা, তাজিংডং/ জাদিপাই গেলে ২৫০০ টাকা... একজন ভাল গাইডের নাম্বার দিলাম, ও ব্যস্ত থাকলে অন্য গাইডের ব্যবস্থা করে দিতে পারবে। 01845779749 (Guide- Newton)


জাদিপাই জলপ্রপাত

<নাহিদ><নাহিদ>

কেউক্রাডাং থেকে পায়ে হেঁটে ১ ঘন্টায় জাদিপাই জলপ্রপাতে পৌছানো যায়। কেউক্রাডং থেকে নিচে নামতে হয় যাওয়ার সময়। ফিরে আসার সময় উপড়ে উঠতে হয় বিধায় সময় ২ ঘন্টা মত লাগে। তবে নিচে নামাটাই বিপদজনক। শেষের কিছু অংশ বেশ পিচ্ছিল। দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা আছে। যাওয়ার সময় জোকের কামড় অবধারিত। সাথে অবশ্যই গাইড নিতে হবে।

যাতায়াতঃ বাস ভাড়া- চট্টগ্রাম হতে বান্দরবন ১০০ টাকা; বান্দরবন হতে কাইখ্যংছড়ি ১০০ টাকা। নৌকা ভাড়াঃ কাইখ্যংছড়ি হতে রুমাবাজার ৩০-৪০ টাকা।




প্রান্তিক লেক


চট্টগ্রাম-বান্দরবান জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় অবস্থিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন্ডিত প্রান্তিক লেক বান্দরবান-কেরাণীহাট সড়কের হলুদিয়ার নিকটবর্তী স্থানে এটি অবস্থিত। কেরাণীহাট থেকে ২০ মিনিট গাড়ি চালালে এ লেকে পৌছানো সম্ভব। জেলা সদর থেকে প্রান্তিক লেকের দূরত্ব প্রায় ১৪ কিলোমিটার। প্রায় ২ হাজার ৫ শত একর এলাকা নিয়ে প্রান্তিক লেকের অবস্থান।  পর্যটকদের নিজেদের খাবার ও পানি নিয়ে যাওয়াটাই উত্তম। রাত্রি যাপনের জন্য মেঘলা অথবা বান্দরবান শহরে ফিরে যেতে হবে। বান্দরবান শহর থেকে কেরাণীহাট গামী বাসে হলুদিয়া নামক স্থানে নেমে টেক্সি বা রিক্সা করে ৩ কিলোমিটার যেতে হবে। বান্দরবান শহর থেকে টেক্সি বা ল্যান্ড ত্রুজার রির্জাভ করে নিয়ে যাওয়া যায়। ল্যান্ড ত্রুজার বা চাঁদের গাড়ী রির্জাভ ৭০০-৮০০, টেক্সি ৪৫০-৫০০ টাকা নিয়ে থাকে।


ঋজুক জলপ্রপাত


প্রাকৃতিক পাহাড়ী পানির অবিরাম এ ধারাটি জেলা সদর হতে ৬৬ কিঃমিঃ দক্ষিণ-পূর্বে রুমা উপজেলায় অবস্থিত। নদী পথে রুমা হতে থানচি যাওয়ার পতে সাঙ্গু নদীর পাড়ে ৩০০ ফুট উচু থেকে সারা বছরই এ জলপ্রপাতটির রিমঝিম শব্দে পানি পড়ে। রুমা হতে ইঞ্জিনচালিত দেশী নৌকায় সহজেই এ স্থানে যাওয়া যায়। মার্মা ভাষায় একে রী স্বং স্বং বলা হয়। রুমা বাজার থেকে নৌকা ভাড়া করে যাওয়া যায়। নৌকা ভাড়া ৫০০-৫৫০ টাকা।


মিরিঞ্জা পর্যটন কমপ্লেক্স


বান্দরবান   জেলাধীন  ফাঁসিয়াখালী - লামা - আলীকদম সড়কের ১৬ কিঃ মিঃ পয়েন্টে মিরিঞ্জা পর্যটন কেন্দ্রটির অবস্থান। নৈসর্গিক সৌন্দর্য্যে ভরপুর এ স্থানটিতে পর্যটন কর্পোরেশনের তত্ত্বাবধানে একটি আকর্ষনীয় টুরিস্ট স্পট হিসেবে গড়ে উঠেছে। সমুদ্র পৃষ্ঠ হতে প্রায় ১,৫০০ ফুট উপরে এটি অবস্থিত। অনুকূল আবহাওয়ায় বঙ্গোপসাগরসহ মহেষখালী দ্বীপ এবং সাগরে চলাচলকারী  দেশী-বিদেশী জাহাজ সহজেই দেখা যায় এ স্থান থেকে। দিগন্ত রেখায় ডুবন্ত রবি‘র রক্তিম আবহ এবং পশ্চিমের পাহাড় টিলার দৃষ্টিনন্দন চির সবুজ দৃশ্য দর্শন। প্রায় ১০০০ ফুট গভীর ঝিরি থেকে উৎঘিরিত জল সিঞ্চনের বিরামহীন কলরব। পাহাড়টির সম্মুখ ভাগ টাইটানিক জাহাজের আকৃতির মত হওয়ায় এটি ‘‘টাইটানিক পাহাড়’’ হিসেবেও পরিচিত। বান্দরবান শহর থেকে জীপ/চান্দের গাড়ি/ প্রাইভেট কারে যাওয়া যায়।


নাফাখুম জলপ্রপাত (বাংলাদেশের নায়াগ্রা)

নাফাখুম

বান্দরবান জেলার থানচি উপজেলার রেমাক্রি স্থানটি সাঙ্গু নদীর উজানে একটি মারমা বসতী। মারমা ভাষায় 'খুম' মানে হচ্ছে জলপ্রপাত। রেমাক্রি থেকে তিন ঘন্টার হাঁটা পথ পাড়ি দিয়ে যেতে হয় আশ্চর্য সুন্দর সেই জলপ্রপাতে, যার নাম 'নাফাখুম'। রেমাক্রি খালের পানি প্রবাহ এই নাফাখুমে এসে বাঁক খেয়ে হঠাৎ করেই নেমে গেছে প্রায় ২৫-৩০ ফুট....প্রকৃতির খেয়ালে সৃষ্টি হয়েছে চমৎকার এক জলপ্রপাত! সূর্যের আলোয় যেখানে নিত্য খেলা করে বর্ণিল রংধনু! ভরা বর্ষায় রেমাক্রি খালের জলপ্রবাহ নিতান্ত কম নয়। প্রায় যেন উজানের সাঙ্গু নদীর মতই। পানি প্রবাহের ভলিউমের দিক থেকে সম্ভবতঃ নাফাখুম-ই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জলপ্রপাত।

যাতায়াতঃ
বান্দরবান শহর থেকে থানচি উপজেলা সদরের দূরত্ব ৮২ কিঃমিঃ। রিজার্ভ চাঁদের গাড়ীতে বান্দরবান থেকে থানচি যেতে সময় লাগবে ৩ ঘন্টা, ভাড়া নেবে ৪৫০০ টাকা। থানচি থেকে রেমাক্রি নৌকায় যাওয়া-আসা, ভাড়া চার হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকা। বর্ষায় ইঞ্জিনবোটে থানচি থেকে তিন্দু যেতে সময় লাগবে আড়াই ঘন্টা। তিন্দু থেকে রেমাক্রি যেতে লাগবে আরও আড়াই ঘন্টা। এই পাঁচ ঘন্টার নৌ-পথে আপনি উজান ঠেলে উপরের দিকে উঠতে থাকবেন। শীতের সময় ইঞ্জিন বোট চলার মত নদীতে যথেষ্ট গভীরতা থাকেনা। তখন ঠ্যালা নৌকাই একমাত্র বাহন। বর্ষা মৌসুমে তিন দিনের জন্য ইঞ্জিনবোটের ভাড়া পড়বে ৪ থেকে ৫ হাজার টাকা। আর শীত মৌসুমে ঠ্যালা-নৌকার ভাড়া পড়বে প্রতি দিনের জন্য ১০০০ টাকা। 

থাকাঃ থাকার জন্য যেতে হবে তিন্দু, রেমাক্রি। মারমাদের বাঁশ-কাঠের বাড়ীতে অনায়াসে থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা হয়ে যাবে আপনাদের। মারমাদের প্রায় প্রতিটি বাড়ীতেই খুব অল্প টাকায় এমন থাকা-খাওয়ার সুবিধে রয়েছে। তিনবেলা খাওয়ার খরচ পরবে জনপ্রতি ২০০ টাকা, আর থাকা ফ্রি। তবে যে বাড়ীতে ফ্রি থাকবেন। খেতে হবে তাঁর দাওয়ায় বসেই।

রেমাক্রিখুম

রেমাক্রি বাজার থেকে দুইভাবে নাফাখুম-এ যাওয়া যায়। এক ঘন্টা উঁচু-নীচু পাহাড়ী পথ মাড়িয়ে(পাহাড় ডিঙিয়ে) তারপর রেমাক্রি খালের পাড় ধরে বাকিটা হেঁটে চলা। এই পথে গেলে নাফাখুমে পৌঁছাতে আপনার সময় লাগবে চার ঘন্টা। রেমাক্রি খাল ক্রস করতে হবে তিন বার, যার মধ্যে শেষবার আপনাকে সাঁতার পানি পেরুতে হবে। আপনি পাহাড় না ডিঙিয়ে গোটা পথই রেমাক্রি খালের পাশ দিয়ে যেতে পারেন। কিন্তু সেক্ষেত্রে নৌকা করে রেমাক্রি খালের মুখে (যেখানে রেমাক্রি খাল সাঙ্গুতে পড়েছে, রেমাক্রিখুম) যেতে হবে আপনাকে...তারপর খালের পাড় দিয়ে হাঁটা পথে নাফাখুম বরাবর। এই পথে আপনাকে চার বার খালটি ক্রস করতে হবে।.তবে সময় লাগবে তিন ঘন্টা। আমি আপনাকে দ্বিতীয় পথেই যেতে পরামর্শ দেব। এতে আপনার সময় ও এনার্জী দু'টোই ব্যয় হবে কম। আর শীতের দিনে গেলে খাল ক্রস করার ঝামেলাই নেই। গোটাটাই আপনি ঝিরিপথ দিয়ে হেঁটে যেতে পারবেন। তবে শীতকালে নাফাখুম-এর এই পূর্ণ সৌন্দর্য উপভোগ করার সুযোগ হবেনা। পানি প্রবাহ অনেক কমে যাবে তখন। 

নাফাখুম

Thnx..for visiting..... 
ফেসবুক ছবি কে দেখবে আর কে দেখবে না তা নির্ধারণ করে দেওয়া যায়।আপনার ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া ছবিটির পূর্ণ সংস্করণ চাইলে যে কেউই দেখতে পারে আর তা ডাউনলোড করে যে কোনো বাজে উদ্দেশ্যে ব্যবহার করতে পারে। সম্প্রতি প্রোফাইল ছবি সুরক্ষার কৌশল জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
প্রযুক্তি বিষয়ক ওয়েবসাইট সিনেটের বিশেষজ্ঞরা বলছেন, আপনি যতই আঁটসাঁট তালা দিয়ে ফেসবুক সুরক্ষিত করেন না কেন আপনি আপনার প্রোফাইলের ছবি ও কভার ছবিটি প্রাইভেট বা শুধু নিজের দেখার জন্য নির্ধারণ করে দিতে পারবেন না। ফেসবুকের এই নীতি করার কারণ যাই হোক না কেন ধারণা করা হয়, এর আসল কারণ হচ্ছে আপনার এই ছবি আপনাকে চেনার জন্য বা আপনার আসল অ্যাকাউন্ট কি না তা বুঝতে সাহায্য করে।
সামাজিক যোগাযোগের ওয়েবসাইটে এখন অংশ হয়ে গেছে প্রোফাইল ছবি। কিন্তু প্রাইভেসি বা ব্যক্তিগত গোপনীয়তার সুরক্ষার কথা ভেবে আপনার প্রোফাইলের ছবিটিকে আপনি ‘আনক্লিকেবল’ করে দিতে পারেন। এতে ছবিতে ক্লিক করে মূল ছবি পাওয়া যাবে না। এতে আপনার বন্ধুও ছবিতে ক্লিক করে পূর্ণ সংস্করণের ছবি দেখতে পাবে না।
খারাপ খবর হচ্ছে, অনেকের অগোচরেই ফেসবুক সম্প্রতি তাদের প্রাইভেসি সেটিংসে কিছু পরিবর্তন এনেছে। এতে মূল প্রোফাইল ছবিটি যে কারও জন্য সর্বদাই ক্লিক করার সুবিধা দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ বন্ধু ছাড়াও অপরিচিত অনেকেই খুব সহজেই প্রোফাইলের ছবিটি দেখতে পাবে। এর আগে বন্ধু নন এমন অপরিচিতরা কেবল ১৬০ বাই ১৬০ পিক্সেলে প্রোফাইল ছবি দেখার সুযোগ পেত যাতে ছবির মানুষটি পরিচিত কি না তা বোঝা যেত। কিন্তু ওই মাপের ছবি দিয়ে বাজে কোনো উদ্দেশ্যে কাজে লাগানো সুবিধা ছিল কম। কিন্তু এখন ফেসবুক সম্পূর্ণ ছবি দেখার সুযোগ করে দিয়েছে। তবে ফেসবুক কিছু প্রাইভেসি বিষয়ক পূর্ব সতর্কতার সুবিধাও রেখেছে। যেমন ছবি যদি ‘অনলি মি’ করে রাখা যায় তবে অপরিচিত কেউ কেবল ওই প্রোফাইলের ছবিটি দেখতে পাবে কিন্তু ছবির সঙ্গে থাকা লাইক, মন্তব্য বা ছবি সংশ্লিষ্ট তথ্য দেখতে পাবে না। আপনি যদি আপনার প্রোফাইল ছবিটি প্রাইভেট করে রাখতে চান তবে নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করতে পারেন।ফেসবুক প্রোফাইলের ছবি চুরি ঠেকাতে ছবিটিকে ছোট করে দেওয়া যায়।
নিউজ ডেস্ক :
ধাপ ১: প্রোফাইল ছবিটি পরিবর্তন করুন
ফেসবুক সম্প্রতি প্রাইভেসি পূর্বসতর্কতার টুল হিসেবে হালনাগাদ একটি ক্রপিং টুল যুক্ত করেছে। আগে সাইটের ক্রপিং টুলটি আপনার প্রোফাইল ছবিটিকে আসলে ক্রপ না করে শুধু ছবিটির ছোট সংস্করণের তৈরি করে দেখাতো। যখন থাম্বনেইল হিসেবে তাতে ক্লিক করা হয় তখন পুরো ছবিটি দেখা যেত। কিন্তু এখন ক্রপিং টুলটি আপনার ছোট ছবিটি ও বড় ছবি দুই ভাবেই ক্রপ করে। আপনি যদি ফেসবুকের পুরোনো টুল দিয়ে ক্রপ করা ছবি প্রোফাইল ছবি হিসেবে ব্যবহার করেন তবে ওই ছবিতে ক্লিক করলে আপনার পুরো ছবিটি দেখতে পাবে যে কেউ। এ ক্ষেত্রে সমাধান হচ্ছে আগের ছবিটি মুছে দিয়ে আবার নতুন করে আপলোড করা।
ধাপ ২: ছোট ছবি ব্যবহার করুন
আপনি যদি আপনার উচ্চ-রেজুলেশনের ছবি পুরো ইন্টারনেট জুড়ে ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে চান, আপলোড করার আগে তা ক্রপ ও রিসাইজ করে দিতে পারেন। ফটোশপ বা মাইক্রোসফট পেইন্টের মতো ইমেজিং টুল ব্যবহার করে ছবি বর্গাকারে ক্রপ করুন এবং এটি ১৮০ বাই ১৮০ মাপে রিসাইজ করুন। প্রোফাইল ছবি হিসেবে এই ছোট মাপের ছবি দিলে অনলাইন দুর্বৃত্তরা তা কাজে লাগাতে পারবে না। আপনি যখন এই মাপের ছবি ফেসবুকে আপলোড করবেন তখন তা আপনার প্রোফাইল ছবির চেয়ে কিঞ্চিৎ বড় হবে। কিন্তু এতে ক্লিক করে অনলাইন দুর্বৃত্তদের হতাশ হতে হবে।
ধাপ ৩: ব্যক্তিগত প্রাইভেসি সেটিংস পরিবর্তন
ডিফল্ট হিসেবে আপনার আপলোড করা সব প্রোফাইল ছবি কিন্তু পাবলিকের জন্য উন্মুক্ত। অর্থাৎ, আপনি যদি বর্তমান প্রোফাইল ছবিটি পরিবর্তন করেন তাতে লাভের লাভ কিছু হবে না। আপনার পুরোনো প্রোফাইল ছবিগুলো দুর্বৃত্তরা হাতিয়ে নিতে পারে। প্রোফাইলের ছবিগুলো পরিবর্তন করতে প্রতিটি ছবিতে আলাদা আলাদাভাবে গিয়ে এডিটে যেতে হবে। প্রাইভেসি বাটনে ক্লিক করে কে এই ছবি দেখতে পাবে সেটা ‘অনলি মি’ নির্ধারণ করে দিতে হবে।



(১) আমু হাদিজী নামের এই ইরানী ভদ্রলোক ৬০ বছর ধরে গোসল করেন না।
(২)জুলিয়া গান্থেল নামের এই ভদ্র মহিলাকে বিশ্বের সবথেকে নমনীয় মহিলা বলা হয়।
(৩)রোল্ফ বুকোল্জ নামের এই জার্মান ভদ্রলোক ৪৫৩টি রিং এবং দুটি শিং নিয়ে জীবন যাপন করছেন।
(৪) সাধু অমর ভারতী নামের এই ভদ্রলোক ১৯৭৩ সাল থেকে তার ডান হাত উপরে উঠিয়ে রেখেছেন।
(৫) আক্ষত সাক্সেনা নামের এই ছোট্ট ছেলেটির প্রতি হাতে ৭টি করে এবং পায়ে ১০টি করে আঙ্গুল আছে।
(৬)তাও পর্চন লিঞ্চ নামের ভদ্র মহিলা ৭০ বছর ধরে যোগ ব্যায়ামের টিচার হিসেবে কাজ করছেন।
(৭) মিষ্টার থাই নামের এই ভিয়েতনামী ভদ্র লোক ১৯৭৩ সাল থেকে ঘুমান না, কারন দুরারোগ্য জ্বরে ভুগছেন তিনি।
(৮)ফ্রান্সি্স্কো ডোমিঙ্গো জোকুইম নামের এই ভদ্র লোককে পৃথিবীর সবথেকে বড় গ্রাসের লোক বলা হয়।
(৯)রাম সিং চৌহান, পৃথিবীর সব থেকে বড় গোফ নিয়ে চলাফেরা করছেন।
(১০) মিচেল লতিতো নামের এই ভদ্রলোক খাবারের পরিবর্তে লৌহ খেয়ে বেচে থাকেন।


What is the difference between Resume and Curriculum Vitae?

Planning to kickstart career? What is the best way to prepare other than writing Resume or Curriculum Vitae. Infact, it is the first and common step to start your job search. Resume and CV though belong to the same category have differences in the length, the content and the purpose. Here few have a details and tips on what and how to write a Resume/CV.
What is a Resume?
Resume is brief note of your skills, experience and education. It gives a concise report of the summary which provides all the required details to the reader in a minute or two. On other words it is compilation of your education, work experience, credentials, and accomplishments that is used to apply for jobs.
What a resume should include?
Resume should be objective. Your objective should be simple, clear and should convey employers about your skills. Objective should also match the job requirements. A resume should be formal and have a basic font and bullets. The format of the resume should consists of the contact details including postal address and phone numbers. Contact details should be followed by profile summary. Profile summary should give all the details of your previous jobs and the experience. Profile summary should be customised according to the requirements of the job. Add the relevant experience in the priority list followed by other key skills.
Resume should not include: Avoid lengthy paragraphs, irrelevant experiences, fancy words, grammatical errors, reasons for leaving previous organisation and photographs (unless specified).
What is Curriculum Vitae?
A Curriculum Vitae generally name as CV, consists of two or more pages. CV includes detailed synopsis such as summary of educational and academic backgrounds,experience, presentations, awards, honours, affiliations and other details. Curriculum Vitae is usually used to apply for an international academic institution, scientific or research positions and also while applying for fellowships or grants.
What points to include while writing a CV?
Similar to resume CV should include the details of name, contact information, education, skills and experience. Apart from basic information CV should give the details on research, experience, professional associations, awards and other information. CV should have the list of all your background information, which should be categorised in an organised way. Do not forget to mention dates while writing For eg: Mention the year you passed out class 10th or class 12th exam, Date when you joined the first job etc,.
How to write?
Before you start up to write analyse on the requirements, which have to provided. Think for which post are your applying and write accordingly. Different posts demands different requirements. Hence make it a point to write the valid informations. CV should always always be perfect as it gives all the details about you and clearly says what you are? Some of the elements that CV must have are as follows:Contact information, brief biography, undergraduate education, graduate education, scholarships, training/projects handled, bibliography, research experience, graduate fieldwork, employment history including experience, presentations, awards and honours. Also mention if you have accomplished technical knowledge and number of languages known. It would always advisable to have a template to write CV, use a formal language, proper formating includes bold, italics, colouring the headlines etc.,
Customise CV
Preparing a CV having a common perception is not preferable. CV should be customised according to the post your are applying. Have targeted and focused versions of curriculum vitae and use them accordingly. For Eg: Fellowship requisites are different from job requisites.Thus, have to prepare different CV for fellowship and job applications.
CV should not have: There is no need to include your photo, salary details and the reason for leaving the previous organisation.
- See more at: http://www.nayadigantajobs.com/article/3270/What-is-the-difference-between-Resume-and-Curriculum-Vitae#sthash.DFsghzRf.dpuf